নাটোর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে শনিবার (৮ জুলাই) ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এ ঘটনার জন্য জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে দায়ী করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি।
এর আগে শনিবার বেলা ১১টার দিকে শহরের আলাইপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলাকারীরা বিএনপি কার্যালয়ের বাইরের কাঁচ, সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করে। হামলাকারীরা বিএনপি কার্যালয়ের সামনের ব্যানার-ফেস্টুন খুলে ফেলে। পরে পুলিশ গিয়ে হামলাকারীদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সদরের তেবাড়িয়া ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি ঘোষণার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী সকালেই দলের জেলা কার্যালয়ের ভেতরে এসে অবস্থান নেন। এ সময় কার্যালয়ের বাইরের দরজা খোলা ছিল। বিএনপি নেতাকর্মীদের কার্যালয়ে অবস্থানের বিষয়টি টের পেয়ে কার্যালয়ের বিপরীত দিকে রাস্তার পাশে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। একপর্যায়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু বলেছেন, শনিবার সকালে সদর উপজেলার তেবারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির কয়েজন নেতাকর্মী কমিটি গঠনের বিষয়ে নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলার জন্য দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে বসেছিলেন। এ সময় জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বিপ্লব ও ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহিনের নেতৃত্বে শতাধিক যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মী মোটরসাইকেল বহর নিয়ে গিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর বাড়ি ও জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর করতে থাকে। হামলাকারীরা দলীয় কার্যালয়ে টাঙানো বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুনসহ সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোও ভেঙে রাস্তায় ফেলে দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ঘটনার প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের আটক করে উপযুক্ত বিচারের দাবিতে বিকেলে আলাইপুরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, সদর থানা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আলম আবুল, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম আফতাব, মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, ছাত্রদল সভাপতি কামরুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি সানোয়ার হোসেন তুষার প্রমুখ।
বক্তারা হামলার জন্য যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে দায়ী করে তাদের আটক করে উপযুক্ত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।